জিন ছাড়ানোর নামে রাতভর স্কুলছাত্রীকে ‘ধর্ষণ
বরিশালে জিনের আছর ছাড়ানোর নামে ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কথিত কবিরাজের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত কবিরাজ শংকর দেবনাথকে (৬০) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
অপরদিকে এ ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশের কর্মকর্তারা।
সোমবার ১০ আগস্ট রাতে নগরীর বাজার রোডে কবিরাজ শংকর দেবনাথের আস্তানায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। শংকর দেবনাথের বাড়ি বানারীপাড়ায় হলেও সে নগরীর বাজার রোডে তার মেয়ের বাসায় আস্তানা করে।
নির্যাতিত ওই ছাত্রী ঢাকার জিঞ্জিরার পীর মোহাম্মদ পাইলট স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী। গত কিছুদিন আগে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর ওই শিক্ষার্থীর মা তার দুঃসম্পর্কের খালাতো ভাই কবিরাজ শংকর দেবনাথের সাথে যোগাযোগা করেন। শিক্ষার্থীকে জিনের ধরেছে বলে তাকে চিকিৎসার জন্য বরিশাল নিয়ে আসতে বলে সে। বরিশালে এসে মেয়েকে নিয়ে কবিরাজ শংকর দেবনাথের কাছে যায় তার মা। এ সময় মেয়েটিকে জিনের ধরেছে জানিয়ে তাকে (শিক্ষার্থী) তার বাসায় রেখে যেতে বলে সে। সোমবার রাতে চিকিৎসার নামে ওই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে কথিত কবিরাজ শংকর দেবনাথ।
পরদিন মঙ্গলবার ১১ আগস্ট সকালে মেয়ের খোঁজ নিতে শংকর দেবনাথের আস্তানায় যায় তার মা। এ সময় আগের রাতে তাকে ধর্ষণের কথা মা’কে জানায় ওই শিক্ষার্থী। এরপর তার মা কোতয়ালী থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ তাৎক্ষণিক ওই আস্তানায় অভিযান চালিয়ে কথিত কবিরাজ শংকর দেবনাথকে গ্রেফতার করে।
ধর্ষণ রোধে অভিযুক্ত ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বরিশালের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
নির্যাতিতা শিক্ষার্থীকে শের-ই বাংলা মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তির পাশাপাশি এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষক শংকরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর কথা জানান কোতয়ালী মডেল থানার ওসি।