দায়িত্বের অভাবেই কি নষ্ট হচ্ছে বাংলাদেশে ফুটবল?
নিয়মিত প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগ আয়োজন করতে না পারলেও, আবারো প্রতিশ্রুতির ডালা সাজিয়ে বসেছে সালাউদ্দিন-সালামের সম্মিলিত পরিষদ। তাদের আশ্বাস নির্বাচিত হলে ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না। তবে ক্লাব সংশ্লিষ্টরা প্রতিশ্রুতি নয়, চায় তার বাস্তবায়ন। একই সঙ্গে মহানগর লিগ নিয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ চান কাজী সালাউদ্দিনের।
সিদ্দিক বাজার ঢাকা জুনিয়র এসসির ডেলিগেট আহাদ বাপ্পী বলেন, ‘যারা এই লেভেল ফুটবল খেলি তারা সালাউদ্দিন ভাইকে পাইনা। বছরে দুইবার একটা মিটিং হয়না। আমরা যদি সালাউদ্দিন ভাইয়ের সাথে ৩/৪ মাস পর পর মিটিং করতে পারতাম,আমাদের ক্লাবগুলো দুঃখ কষ্ট বলতে পারতাম তাহলে উনার কাছ থেকে অনেক কিছু আদায় করা সম্ভন হত।’
বিগত চার বছরে যাদের খোঁজ রাখেনি কেউ, তারাই আজ মহাগুরুত্বপুর্ন। পাঁচ তরকা হোটেলে মহা সমাদরে চলছে তাদের অপ্যাায়ন। কেন এই জামাই আদর সেটা বুঝতে রকেট সাইন্স ঘাটার দরকার নেই। সামনে নির্বাচন তাই বেড়েছে ডেলিগেটদের কদর। তাদের নিয়েই রুদ্ধদ্বার আলোচনা। কনভিন্স করার চেষ্টা।
নির্বাচনী হাওয়ায় ডেলিগেটদের কতটা টলাতে পেরেছেন প্রার্থীরা, সেটা জানা যাবে ভোটের পর। তবে কৌশলে এবার বেশ নমনীয় বিগ শটরা। তার কারণটাও স্পষ্ট বিগত দিনে দেয়া কথার খেলাপ হয়েছে বেশ। তাই দোষ স্বীকার না করে তো আর নতুন প্রতিশ্রুতির টোপ গাথা যায় না। সেই পথেই সালাউদ্দিন সালাম পরিষদ।
সহ-সভাপতি প্রার্থী সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘আমি ফেডারেশনের এই পজিশনে থেকে যে ৫ টি লীগ হয়েছে সে ব্যাপারে আমি একদমই খুশি না। এবং এটার দায়-দায়িত্ব অবশ্যই আমার ঘাড়ে আসবে যেহেতু এটা আমি করতে পারিনি। ভবিষ্যতে এটা নিয়মিত হবে এবং নিয়মিত চলবে এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি।’
বর্তমান সভাপতির গেল ১২ বছরে মাত্র পাঁচটি প্রথম বিভাগ লিগ করতে পেরেছে মহানগর কমিটি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের অবস্থা আরও সঙ্গীন। শত প্রতিবন্ধকতা স্বত্বেও ক্লাবগুলো চায় নিয়মিত মাঠে খেলা রাখতে। এ জন্য তাদের চাওয়া সব কিছুই ঢেলে সাজানো হোক। সরাসরি তদারকি করুক কাজী সালাউদ্দিন নিজেই।
আহাদ বাপ্পী বলেন, ‘থার্ড ডিভিশন লীগ হয়েছে ১৬/১৭, আজকে ২০ কোন লীগ নেই। যদি মহানগর ফুটবল লীগের উপর নার্সিং করায় তাহলে আমার কি সমস্যা যে জায়গা থেকে প্লেয়ার তৈরি হচ্ছে, ওই জায়গায় আমার কি কাজ যদি এই কাজগুলো একটা কমিটি গঠন করে দেয়, সালাউদ্দিন ভাই নিজে তদারকি করলে ফুটবল এগিয়ে যাবে। ‘
শুধু প্রতিশ্রুতি নয়। হোক তার বাস্তবায়ন। নির্বাচন ঘিরে নয়, ছোট এই ক্লাবগুলো নিয়ে আলোচনা হোক প্রতিনিয়তই। কারণ এখানেই যে ফুটবলের আঁতুড়ঘর।