রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৯০ হাজার শিশুর জন্ম, সন্তানসম্ভবা আরো ৩০ হাজার
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া যতই দীর্ঘায়িত হচ্ছে, ততই জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঘটছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে। গত ৩ বছরে ক্যাম্পগুলোতে জন্ম নিয়েছে ৯০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শিশু। আর সন্তান সম্ভবা আরও ৩০ হাজারের অধিক নারী।
স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি মানতেই রাজি না রোহিঙ্গা নারীরা। তবে প্রশাসনের দাবি, জন্ম নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পে নানা কার্যক্রম চলমান।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অমানবিক নির্যাতনে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট পালিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে আশ্রয় নেন রোহিঙ্গা নারী নুর বাহার। ৩০ বছর বয়সী এই নারী জন্ম দিয়েছেন ৬ সন্তান। আরেক নারী শাহনাজ। বয়স ২৫ না পার হতেই এখন ৩ সন্তানের মা। আর গর্ভে রয়েছে আরও এক শিশু।
নুর বাহার আর শাহনাজের মতো আশ্রয় নেয়া এমন হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী রয়েছেন উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে। যাদের সন্তান সংখ্যা পাঁচের বেশি। এমনকি দশের বেশি সন্তানের মায়ের সংখ্যাও কম নয়।
তারা জানান, আমার এখন ৮টি সন্তান। এদের কারো বয়স ১২, ৯, ৮, ৬ ও চার বছরেরও রয়েছে।
জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি রোহিঙ্গা নারীরা মানতেই চান না বলে জানালেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
স্বাস্থ্য কর্মী শাপলা আকতার বলেন, পরিবার পরিকল্পনা করলে গুনাহ হবে। তাদের ঘরে ১০ থেকে ৮টা বাচ্ছা।
তবে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের দাবি, রোহিঙ্গাদের জন্ম নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পে নানা কার্যক্রম চলছে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দ্দৌজা বলেন, পরিবার ও পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্যবিভাগ তাদেরকে (রোহিঙ্গা নারী) বিষয়টি বোঝানোর কার্যক্রম চলছে।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে প্রতিবছর নতুন জন্ম নেয়া শিশুর হার ৩০ হাজার আর গর্ভবতী নারীর সংখ্যা ৩৫ হাজার।