ছেলে-মেয়ে ডাক্তার হবে না ইঞ্জিনিয়ার?
আমাদের সমাজে প্রচলিত একটি কথা আছে যত উপরে উঠবে পড়ালেখার চাপ কমতে থাকবে। এটা আমাদের পরিবার আমাদের শিখান। পরিবার আমাদের শিখান যে তুমি বড় হয়ে ডাক্তার হবে কেউ বলেন ইঞ্জিনিয়ার হবে অনেকে অনেক কিছুই বলেন। আমরা ছোট শিশু যেই যা বলেন হা বলতে থাকি। স্কুল জীবনে শুরু ১ডজন বই আর বড় একটি ব্যাগ নিয়ে। আমাদের ওজন এর চেয়ে ওহ অনেক বারি। আমাদের খেলাধুলা আর বিনোদন যেই প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে বন্দি। আমাদের অপ্রয়োজনীয় অনেক বই চাপিয়ে দেয়া হয় যা ব্যাক্তি জীবনে কোনো৷ কাজে আসে না। আমাদের বাস্তবমূখি শিক্ষা দেয়া হয় নাহ, আমাদের শিক্ষা দেয়া হয় মোঘল সম্রাটদের ইতি কথা, মিরজাফরের বিশ্বাসঘাতক কথার গল্প। পরিবার ও স্কুল আমাদের শিখান তুমি পাস করতে হবে। এক ক্লাস থেকে আরেক ক্লাসে উঠতে হবে এবং ভালো রিজাল্ট পেতে হবে। পরিবার বা স্কুল আমাদের শিখার জন্য শিক্ষা দিচ্ছেন নাহ, তারা পাস করার জন্য শিক্ষা দিচ্ছেন। পরিবারের সপ্ন ডাক্তার হবো, কিন্তু ক্লাস পাস করার পর নবম শ্রেণীতে স্কুল আমাকে বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি করতে দিলো না। পরিবার থেকে আমাকে যেটা শেখানো হয়েছে আমি এই বিষয়টা যখন না পাই, তখন মানসিকতা চরমপন্থায় বিপদগ্রস্ত হয়ে উঠে। কারন পরিবার শুধু ডাক্তার আর ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সপ্ন দিখিয়েছে। আর কোনো৷ শিক্ষা যে আমার মাথায় ঢোকানো হয় নি।ভালো রিজাল্ট নিয়ে যখন এসএসসি পাস করা হলো তখন শহর কেন্দ্রিক কলেজ ভর্তি হওয়া যাবে নাহ, খারাপ হয়ে যাবি, রাজনীতি শিখে যাবি নানান কিছু শুনতে হয়। কলেজে উঠার পর পড়ালেখার চাপ বাড়তে থাকে, কিন্তু শিশু থাকতে আমাকে শোনানো হয়েছিল বড় হলে পড়ালেখার চাপ কমে, সেই চিন্তা মাথায় নিয়ে বড় হয়ে কলেজে উঠলাম কিন্তু এসব কথা মিথ্যে ছিল। পড়ালেখার চাপে মানুষদের সাথে মিলামিশা না করতে পেরে তরুণরা মানসিক বিকারগস্ত হয়ে পড়ে।তারা এক গেয়ে হয়ে বিভিন্ন কৃতকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ে, তখন এই পরিবার সমাজ আমাদের মতো তরুণদের তাচ্ছিল্য করতে থাকে। পরিবার সমাজ এই দায় নিতে নারাজ হয়। পড়ালেখা শেষ করে যখন চাকরির খুজে বের হয় একটা তরুণ, তখন পরীক্ষক জিজ্ঞেস করেন তোমার কাজের অভিজ্ঞতা আছে কিনা? পরীক্ষক আমাদের সার্টিফিকেট না দেখা অভিজ্ঞতা আছে কিনা সেটা নিয়ে পড়ে থাকেন। কিন্তু আমাদের এই শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের কারিগরি শিক্ষায় গড়ে না তুলে মোঘলদের গল্প শুনাতে উদ্ভদ করেছেন। সরকারি বেসরকারি কম্পানী চাকরি খবরে ছাপায় অভিজ্ঞ লোক প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে চাকরি করতে গেলে ভালো রিজাল্ট মূখ্য বিষয় না ,মূখ্য বিষয় হচ্ছে তোমার টাকা এবং মামা চাচা থাকতে হবে। চাকরি নাহ করতে পারলে পরিবার ও সমাজ আমাদের ভালো ভাবে গ্রহন করে নাহ। আমাদের সমাজে চাকরি না পেয়ে একটি তরুণ চায়ের দোকান খুলে বসলে তাদের চুলকায়। পড়ালেখা করে চায়ের দোকান খুলছে, বাপ মায়ের সব ইজ্জত শেষ। একটি কাজ করে চলবার চেষ্টা করছি এই নিয়েও কথা বলতে হবে। আমার মতে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্তা নতুন করে সাজাতে হবে। কারিগরি শিক্ষা চালু করতে হবে। এসব ইতিহাস আমাদের ভবিষ্যতে কাজ করতে সহায়তা করবে না। শিক্ষা হতে হবে শিখার জন্য, পাস করার জন্য নয়। মিথ্যে গল্প বাচ্চাদের না শুনিয়ে, ভবিষ্যতে কোন কাজ করলে ভালো মানুষ হওয়া যায় এবং সৎপথে টাকা আয় করা এসব শিক্ষা দিন। তাহলেই একটা সুন্দর সমাজ গঠিৎ হবে।
লেখকঃ কাজী মোঃ সাঈদ উদ্দীন (সম্পাদক সময়ের সাথে)