শুরু ৯০ হাজারে, এখন ২৫ কোটি টাকা বিক্রি!
গল্পটা পুরান ঢাকার একজন খেলনা ব্যবসায়ীর। মাত্র ৯০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করে তার বিক্রির পরিমাণ এখন প্রায় ২৫ কোটি টাকা। খালি হাতে ঢাকায় আসা আমান উল্লাহর এখন রয়েছে নিজস্ব গাড়ি। তার নেতৃত্বে কাজ করেন ৮০০ শ্রমিক।
২০০৩ সালে ঢাকায় আসেন তিনি। শুরুতে পুরান ঢাকার একটি খেলনা কারখানায় কাজ নেন মো. আমান উল্লাহ। নাসরিন টয় কারখানায় আনা হতো বিদেশি খেলনা। সেসব বিদেশি খেলনা দেখেই ধীরে ধীরে খেলনার ‘ব্যাকরণ’ শিখে নেন আমান। সেই থেকে শুরু আর পিছু ফিরে দেখা নয়। মায়ের গয়না বিক্রির টাকা দিয়ে শুরু করেন খেলনা তৈরির কারখানা। মাত্র ৯০ হাজার টাকা তার পুঁজি ছিল। এখন সেই কারখানা রূপান্তরিত হয়েছে কোম্পানিতে। এখন আমান উল্লাহর ২৫ কোটি টাকারও বেশি খেলনা বিক্রি করেন।
একটা সময়ে যখন চীনের খেলনায় বাজার সয়লাব ছিল তখন বাংলাদেশ থেকে চীনে কারখানা দেখতে যান আমান। ২০১২ সালে চীনের কারখানা দেখে এসে সেই প্রযুক্তি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করেন। প্রথম দিকে তার কারখানায় শুধু ঝুনঝুনি বানানো হতো। তবে এখন পরিণত অবস্থায় প্রায় ৬০ ধরনের খেলনা বানান তিনি। আমান প্লাস্টিক কোম্পানির নাম। এই কোম্পানিতে কাজ করেন প্রায় ৮০০ শ্রমিক।
আমান এ দীর্ঘ যাত্রায় মধুমতি ব্যাংক থেকে ২০১৬ সালে আড়াই কোটি টাকার ঋণপত্র তোলেন। আমান ১১ মাসেই সেই ঋণ পরিশোধ করেন। এরপর আরো ১০টি মেশিন আনার ব্যবস্থা করে দেয় মধুমতি ব্যাংক। সে টাকাও তিনি শোধ করেছেন সময়মত। এভাবেই বেড়ে ওঠেন আমান। এখন তার কারখানার সংখ্যা চারটি। তিনি ২০১৬ সাল থেকে প্রতিবছর ৫০ শতাংশ উৎপাদন বাড়িয়ে চলেছেন।